এস. এম ইকবাল, ফরিদগঞ্জ:বাবা অসুস্থ তাই মাকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিল মেয়ে। বাবাকে ঔষধ খাইয়ে ঘরের কিছু প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মা ও মেয়ে ইভটিজিং এর শিকার হয়। বাবা ইভটিজিং কারির পরিবারের কাছে বিচার দিতে গেলে হামলার শিকার হন। এ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা হয়। মারামারিতে ২ পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী তার মায়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে মা ও মেয়ে ইভটিজিং এর শিকার হয়।
জানা যায় নয়ারহাট বাজারের পূর্ব মাথায় মসজিদের পাশে অটোতে একদল বখাটে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত আনুমানিক আটার দিকে মাকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নুহা আক্তার। এ সময় বখাটের দল তাকে বাজে মন্তব্য করে। সাহসী ছাত্রী নুহা সাথে সাথে প্রতিবাদ করলে তারা অটো থেকে বের হয়ে তাকে থাপ্পর মারে এবং বিশ্রি ভাষায় গাল মন্দ করে। এ সময় তার মা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর দিয়ে অটো উঠিয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। এরা এলাকার চিহ্নিত গাজাখোর বিদায় তারা বিষয়টি আর না বাড়িয়ে বাড়িতে চলে যায়।
বাড়িতে এসে ঘটনা শুনে নুহার বাবা জুয়েল পাটওয়ারী পরদিন সকালে বিষয়টি প্রতিবাদ করতে পাশের বাড়ির অটো চালকের বাবার কাছে যায় এবং ঘটনাটির প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা মারামারিতে গড়ায়। এই মারামারি কয়েক দপায় হয়। মারামারিতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে একাধিকজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইভটিজিং এর শিকার নুহা আক্তার এ প্রতিনিধিকে বলেন- এরা ৫/৬ জন প্রায় সময়ই আমাকে রাস্তায় ইভটিজিং করে। এদের মধ্যে একজনের নাম সম্রাট। সর্বশেষ এরা কয়েকদিন আগে আমাকে এবং আমার মায়ের সাথে বাজে ব্যবহার করে। বিশ্রি ভাষায় গাল মন্দও করে।
নুহার মা মুক্তা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ‘এদের ভালো করে চিনি না। এরা প্রায় সময় আমার মেয়েকে ডিস্টাব করতো। বাজে মন্তব্য করে বিরক্ত করতো। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে বাজার থেকে আসার পথে তারা আমাদের মা মেয়েকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাই কথা না বাড়িয়ে ভাসায় চলে আসি।
অভিযুক্ত গাজী বাড়ির বাবুল হোসেন গাজী এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনা জানতে এসে জুয়েল পাটওয়ারী অটো চালকের মা বাবা তুলে গাল মন্দ করলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপর আরো কয়েকজনকে খবর দিয়ে আরেক দপা মারামারি হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জ থানায় নুহার মা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আগামীকাল আমি ঘটনাস্থলে যাবো।’
৯৯৯ কল পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে এস.আই আনোয়ার এ প্রতিনিধিকে বলেন- উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।