সমীর ভট্রাচায্য : মেহেদির রং না শুকাতেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমাইয়া আক্তার (১৭) নামের এক নববধূ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মতলব দক্ষিণ উপজেলার কালিয়াইস গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিয়াইস গ্রামের আলম গাজী প্রধানীয়া বাড়ীর আঃ মতিন প্রধানের ছেলে প্রবাসী মাজারুল ইসলামের সাথে ঘটনার ১৭ দিন আগে বিয়ে হয় দাউদকান্দি উপজেলার নোয়ার্দা গ্রামের আলী মিয়া সরকারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের। ঘটনার সকালে সুমাইয়া শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায়, ঘটনার সময় তার স্বামী সোলাইমান বাড়ির পাশে নতুন ঘরের নির্মাণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক ওই সময় সে (সুমাইয়া) ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। দরজা ঘরের ভিতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে অনেক ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে থানায় খবর দিলে মতলব দক্ষিন থানার ওসি (তদন্ত) সালেহ আহমেদ, এসআই হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
বাড়ীর একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, মাজারুল ইসলাম গত ২৮ জানুয়ারী প্রবাস থেকে দেশে আসেন । আসার পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন সোমাইয়াকে । গত ১৮ ফেব্রুয়ারী নোয়ার্দা থেকে এ বাড়ীতে আসেছে । বিয়ে পর আমরা শুনতে পেরেছি বিয়ের আগে অন্য একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল । সে কারনে হয়তো আত্মহত্যা করেছে ।
মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়ে সুমাইয়ার বাবা আলী মিয়া সরকার বলেন, তার মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। তাই সে এমনটি করেছে।
মতলব দক্ষিন থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, আত্মত্যার ঘটনায় থানা একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।