হাজীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভে নেই কোন তদারকি

গাজী মহিনউদ্দিনঃ মুুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করতে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রবেশ মুখেই কাছারি পুকুরে চোখে পড়ছে দৃষ্টি নন্দন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি লালনে ২০১৬ সালে নির্মাণ করা স্তম্ভটি অযন্ত অবহেলায় ধুকে ধুকে মরছে। বীর শহীদের প্রতীকি ছবি দিয়ে সাজানো স্তম্ভের ভিতরে ফাঁকা অংশে মলত্যাগ আর ময়লার ভাড়াড়ে পরিণত হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থীরা প্রবেশ করেই নাকে হাত দিয়ে বেরিয়ে আসছে।

উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের পুরো এরিয়া সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকা স্বত্ত্বেও কে বা কাহারা এমন বিবেকহীন কু-কর্ম করে আসছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের স্মৃতি চির স্মরণীয় করে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ঢগায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এ দৃষ্টি নন্দন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বীর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সন্তানদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ২০১৬ সালে রাজস্ব খাতের অর্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেন তৎকালিন সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার।

তিনি দায়িত্বে থাকাকালিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভের নিয়মিত তদারকি থাকলেও বর্তমানে অবহেলা অযন্ত্রে নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য। স্মম্ভের মূল অংশে স্টীটের পাইপগুলোর উপরে থাকা আলোকসজ্জ্বা নষ্ট হয়ে পড়লেও তদারকি করার কেউ নেই।

শহীদ বীর সন্তানদের ছবি সংবলিত শে^ত পাথলের নেম প্লেইটের রং উঠে সাদা হয়ে গেলেই কারো নজরে পড়েনি। বেঁধেছে মাকড়সার বাসা, ধুলা-বালিতে অস্পষ্ট হয়ে আছে ছবিগুলো।

স্বাধীনতা দিবস যায়, বিজয় দিবস আসে, থাকে কেউ এ স্মৃতি স্তম্ভটির পাশে। মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো সাজসজ্জ্বার আওয়াত নেওয়া হলেও অন্ধকারে ডুবে থাকে এ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভটি।

মহান বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসে আলোক সজ্জ্বার ছোয়া না পেলেও রাতের অন্ধকারে শ্রদ্ধাঞ্চলির ফুলের সাজানো ডালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসে বেশ কিছু সংগঠন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজীগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা ও স্থান থাকলেও স্মৃতি ধরের রাখার জন্য কোন স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি।

২০১৬ সালে সর্ব প্রথম হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান প্রয়াত অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদারের প্রচেষ্টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির উদ্যোগে এ স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়।

প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্মৃতি স্তম্ভটি দেখার জন্য ছুটে আসে দর্শনার্থীরা। তদারকি না থাকায় অযন্ত অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আগের মত আর দর্শনার্থী দেখা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে যেহেতু আপনারা জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত খবর