স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্ববাসীর বিস্ময়। তারা শ্রদ্ধার চোখে শেখ হাসিনাকে নিয়ে গর্ব করে থাকেন। তার জন্যে আজ আমরা গর্ববোধ করি। আপনারা শেখ হাসিনার জন্যে দোয়া করবেন। তিনি যেন মানুষের জন্যে, দেশের জন্যে আরো অনেক অনেক কাজ করতে পারেন।
১৯ নভেম্বর রোববার দুপুরে চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর চেম্বার ভবনে আয়োজিত সভায় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য আর্শিবাদ। তিনি বিশ্ব মানবতান জন্যেও আর্শিবাদ। আমরা তাঁকে নিয়ে গর্ভ করি। দেশবাসী শেখ হাসিনার মতো একজন বিচক্ষণ মানুষকে নির্বাচিত করেছেন বলেই আমরা একজন ভালো প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আর চাঁদপুর-হাইমচরবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছেন বলেই আমি একজন দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। যাঁর দুরদর্শিতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি বলেই আমি চাঁদপুরের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমি তার স্বার্নিধ্য পেয়েছি। আমি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তারা আমাকে চাঁদপুরের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। চাঁদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অনেক অবদান রয়েছে। ব্যবসা, সেবা, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল উন্নয়নে যেভাবে চাঁদপুর চেম্বার অবদান রেখেছে আগামীতেও চাঁদপুর চেম্বার সেভাবে তাদের অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে ব্যবসায়ী সমাজ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তার জন্যে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চাঁদপুরকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে, সেই স্বপ্ন পূরণে আমি আরো কাজ করতে চাই।
দীপু মনি আরো বলেন, চাঁদপুরে রয়েছে তিন নদীর মিলনস্থল,রয়েছে ইলিশ সম্পদ, রয়েছে সকল সুবিধাসম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমরা যদি এই সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আধুনিক চাঁদপুর গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্যে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। চাঁদপুরের ব্যবসায়িক হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে শরীয়তপুর ও চাঁদপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মেঘনায় টানেল নির্মাণ করার প্রস্তাবনা আমারও রয়েছে। মেঘনায় সেতুর পরিবর্তে ট্রানেল করলে নদী এবং ইলিশ রক্ষায় সুবিধা হবে। সে বিষয়ে আমরা কথা বলবো। পুরাণবাজারের ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাড় বাঁধাইসহ এখানে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়ে হবে। ব্যবসায়ীদেরকে কলকারখানা স্থাপনের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ।
চাঁদপুর চেম্বারের পরিচালক গোপাল সাহার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড.মজিবুর রহমান ভুইয়া, চাঁদপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচএম আহসান উল্লাহ্, চেম্বারের পরিচালক আমিনুর রহমান বাবুল, সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, চেম্বার পরিচালক রিয়াজুর রহমান রিজু, মাইনুল ইসলাম কিশোর, সাবেক পরিচালক হাসান ইমাম বাদশা, ক্যাব সদস্য বিপ্লব সরকার, চাঁদপুর চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ আলম ও ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন মানিক।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইউব আলী বেপারী, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ হযরত আলী, পরেশ মালাকার, মোঃ লিয়াকত পাটোয়ারী, চেম্বার সচিব আব্দুল মোতালেব শেখ টুটুল, ব্যবসায়ী আব্দুর রব মল্লিক সানু, মানিক সাহা, আশীষ দেবনাথ, কালাচাঁন বণিক, নেপাল সাহা, গাজী মোঃ মহসীন কাদের (মিশু), দুলাল কাজী, সহদেব বর্মন, মোঃ মজিবুর রহমান মাঈনু, শম্ভুনাথ সাহা, আলহাজ্ব মান্নান শেখ, গোবিন্দ সাহা, আলহাজ্ব আবুল বাসার কাশেম, চাঁদপুর হোটেলের পরিচালক জাকির হোসেন প্রমুখ।