চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে দু দিন ব্যাপী “ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া অখণ্ডসম্মেলন”সমাপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার : অখণ্ডমণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের “পুণ্যজন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে” প্রতি বছরের ন্যায় এবারও “ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া অখণ্ডসম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ “ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া অখণ্ডসম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের সকল “অখণ্ড মণ্ডলী” আঞ্চলিক ও জেলা সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন । বাংলাদেশে অখণ্ড আদর্শ অনুসারীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন “বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠন” প্রতি বছর এই সম্মেলন আয়োজন করে থাকে।

“পুণ্যজন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রম পরিচালনা পরিষদ” এবং চাঁদপুর অযাচক আশ্রম বোড-অব-ট্রাষ্ট
সম্মেলনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। “ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া অখণ্ডসম্মেলন” উপলক্ষ্যে গত ১৬ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় “চাঁদপুর অযাচক আশ্রম” প্রাঙ্গনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশ গ্রহণে সমবেত উপাসনা করা হয় ।

ওই দিন রাত ৮ টায় “বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধি বৃন্দদেরকে নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনার সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১০টায় সাংগঠনিক অধিবেশনের ১ম পর্বের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পূর্ণ জন্মস্থান অযাচক আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সহ সভাপতি অরুন কুমার ঘোষ। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক উত্তম কুমার রায, উপদেষ্টা সদস্য নির্মল কুমার ভৌমিক, সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাস,তাপস কান্তি সরকার, সাধারন সম্পাদক সুজিত কুমার দে,বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাংশু সূত্রধর,

চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের বোর্ড অব ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মৃণার কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তাপস কান্তি সরকার। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংগঠনিক অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক রত্ন বিজয় সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি বলরাম দাস, মহিলা সম্পাদিকা পূজা ভৌমিক, প্রচার ও সামাজ কল্যাণ সম্পাদক পলাশ কুমার দাস,চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য মনতোষ সাহা, সঞ্জয় ভৌমিক, মৃদুল কান্তি দাস,প্রনব সাহা প্রমুখ। পরে সভা মূলতবি করা হয় ।

গতকাল ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় “পুণ্যজন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের” আয়োজনে সাপ্তাহিক সমবেত উপাসনা করা হয় । বেলা ১১ টায় ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া অখণ্ডসম্মেলনের শুভ উদ্বোধনী করা হয় । অখণ্ডসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাস।চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের বোর্ড অব ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মৃণার কান্তি দাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা স্কাউটস সম্পাদক ও হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক। অখণ্ডসম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাত।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, মন্দির গুলো প্রতিষ্ঠিত হয় ভ্রাতৃত্বের বন্দন সৃষ্টির জন্য। এক মন্দিরের ভক্ত আরেক মন্দিরে যাবে ভক্তির জন্য। এটাই তো ভ্রাতৃত্ব। আজকে সমাজে কি চলছে, একটা চাটুকারিতা। চাঁদপুর জেলাবাসী কত ভাগ্যবান। স্বামী স্বরূপানন্দ আমাদের জেলায় জম্ম গ্রহন করেছে। আমি গর্ব করে বলতে পারি স্বামী স্বরূপানন্দের জম্ম স্হানের সন্তান।

মানুষ কি করে পারে একটি মন্দির নিয়ে মামলা করতে। অন্তরের ভক্তি দিয়ে যদি আপনি চেষ্টা করতেন তাহলে আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতাম। আমি শশ্মানে মন্দির করতে গিয়ে কারো কাছে হাত পেতে অর্থ চাইনি, ভক্তরা নিজেরাই অর্থ দিয়ে সেই মন্দির নির্মান কাজ করা হয়। তেমনি এই অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী এ মন্দিরের উন্নয়ন কাজ করতে কারো কাছে হাত পেতে অর্থ চাননি। ভক্তরাই সকল অর্থ দিয়েছেন। আজ অধ্যক্ষ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী আমাদের সামনে শায়িত। স্বামী স্বরূপানন্দ মহা শশ্মানে যেতেন। স্বামী স্বরূপানন্দের সমাধি চাঁদপুর মহা শশ্মানে আমরা করবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক উত্তম কুমার রায,জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার, সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী,সদর উপজেল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী প্রমুখ।

একই রকম খবর