স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর শহরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ দখলদার মালিক সেজে বেআইনি ভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকটা সিনেমার কাহিনির মতো এই ঘটনাটি ঘটে শহরের প্রান কেন্দ্র জোড়পুকুর পাড় ড্রেসকো টেইলার্সের দোকানটি নিয়ে ।
এবিষয়ে দোকানের মূল মালিক মৃতঃ ইদ্রিস পাটওয়ারীর ছেলে মৃত এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর স্ত্রী সুফিয়া আকতার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বাদী সুফিয়া আক্তার উল্লেখ করেন,শহরের জোড় পুকুর পাড় ড্রেসকো টেইলার্সটির মূল মালিক আমার শশুর ও স্বামী বটে।দোকানটি আবদুর রশিদ খান ও তার আত্মীয় আনোয়ার হোসেন বাবুল অবৈধ ভাবে দখলে নেয়।
এবং এক পর্যায়ে আবদুর রশিদ খান কিছু লোকের ইন্ধনে আমার স্বামীকে অসহায় ও নিরীহ পেয়ে আমার স্বামীর সম্পত্তি অবৈধভাবে গ্রাস করার কু -মতলবে চাঁদপুরস্থ অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্যুনালে অর্পিত ৯২৩/১৩ ইং মোকাদ্দমা দায়ের করিলে উক্ত মোকাদ্দমায় আমার স্বামীর পক্ষে রায় ডিগ্রি হলে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে তিনি বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আপিল ৮/২০১৬ ইং মোকাদ্দমা দায়ের করে।
উক্ত আপীল মোকাদ্দমায় পূর্বের রায় ডিগ্রি বহাল রাখায় আবদুর রশিদ খান আরো ক্ষিপ্ত হইয়া উক্ত আপিল মোকদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৩৬১৬/২০১৭ ইং মোকাদ্দমা দায়ের করে ।
উক্ত মোকাদ্দমায় হাইকোর্ট চাঁদপুর আদালতের আপীল ৮/২০১৬ইং মোকাদ্দমা পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করে রীট শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ তফছিল সম্পত্তি যেইভাবে আছে সেইভাবে যেন থাকে, উক্ত সম্পত্তির উপর কোন স্থাপনা,সংস্কারসহ নব্য কোন কাজ করা যাইবে না ।
পরবর্তী আমার স্বামী ২০১৮ ইং সনে মৃত্যুকালে আমাকে দুই কন্যা ও এক পুত্র ওয়ারিশ রাখিয়া যায়। বর্তমানে চাঁদপুর পৌরসভার অধিনে শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার জন্য সংস্কার কাজ চলছে , যাহা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ, তাই সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা না দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য আমার সম্পত্তির উপর থাকা স্থাপনা ভাঙ্গা পড়লে আমার কোন প্রকার আপত্তি নাই।
কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রশিদ খান ও তার আত্মীয় আনোয়ার হোসেন বাবুল জোরপূর্বক হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার সম্পত্তির উপর নব্যভাবে পাকা দালান নির্মাণ করার পাঁয়তারা করছে।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদশন করেন মডেল থানার পুলিশ । এ ব্যাপারে পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।
তবে এবিষয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন , উনারা যদি কোর্টের রায় পায় তাহলে আমি দোকান ছেড়ে দিব ।