স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর শহরের হাজী মহসীন রোড সংলগ্ন আলিম পাড়া লেডী দেহলভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিগত ১৩ বছরের অধিক সময় দপ্তরী ছাড়াই চলছে। এই পদটি শূন্য থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
একই সাথে বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি দপ্তরীসহ নৈশপ্রহরী এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ শূন্য রয়েছে।
জানাগেছে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রাক প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ৩২১জন। শিক্ষক আছে ১০জন। কিন্তু বিদ্যালয়টি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রত্যেক ঘন্টার পর বেল দেয়ার জন্য কোন লোক নেই। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিদ্যালয়টি। এরপর বিদ্যালয় নির্মাণ হয় ১৯৮৭সালে। শহরের ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টির এমন পরিস্থিতি থাকলেও এগিয়ে আসছে না কেউ।
এদিকে বিদ্যালয়ের ক্লাস্টারের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মানসুর আহম্মদ চলতি মাসের ১১ তারিখে সর্বশেষ পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের এসব সংকটের বিষয়গুলো তিনিও জানেন।
প্রধান শিক্ষক আবদুল হক জানান, তিনি দীর্ঘ বছর এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে। বিদ্যালয়ের দপ্তরী সমস্যার বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় অবগত। কিন্তু কি কারণে এই শূন্যপদ পুরন হচ্ছে না তা তিনি জানেন না। যে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে খুবই সমস্যা পড়তে হয়।
তিনি আরো জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবন মাত্র ৬শতাংশ জমির ওপর। বিদ্যালয় থেকে বের হলেই হাটতে হয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দিয়ে। যে কারণে আমরা শহীদ মিনারও তৈরী করতে পারি না। বিধি মোতাবেক একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩শতাংশ জমি থাকার কথা সেটাও আমাদের নেই।
চাঁদপুর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকী বলেন-তিনি গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে এই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়টি দপ্তরীসহ আরো অন্যান্য সমস্যায় আছেন এটি তিনি জানতে পেরেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন-মূলত পৌর এলাকার বিদ্যালয়গুলো অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত। দপ্তরী পদটি রাজস্ব থেকে করা হয়েছে। যে কারণে এই পদে নিয়োগের দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। আমরা এখন শহরের বাহিরের বিদ্যালয়গুলোতে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিচ্ছি। ওই পদের লোকদেরকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।