চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার নামে ল্যাবএইডের রমরমা বাণিজ্য!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর ২৫০ সজ্জা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ল্যাবএইড নামের একটি ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ল্যাবএইড নামের চাঁদপুর শাখার একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাসহ আরে কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ঢুকে বেশ কিছু শিশুর শরির থেকে সিরিজের মাধ্যমে ব্লাড কালেকশন করছেন। এবং রোগীর অভিভাবকদের কাছ থেকে রিসিড দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ সময় সেই কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে এই ব্লাডের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করব এইজন্য তা নেওয়া হচ্ছে।

তখন জিজ্ঞেস করা হয় যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোন অনুমতি নেওয়ার আছে কিনা।
তখন তিনি বলেন এইভাবে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি, তাহলে আপনি নিচ্ছেন কেন বললে তিনি তখন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

কিন্তু পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের কাছ থেকে জানা যায়, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, স্টাফ ও নার্সদের সহযোগিতায় তারা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে এ ধরনের বাণিজ্য করে আসছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একে মাহাবুবুর রহমানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এই বিষয়টি আমার নজরে ছিল না আপনাদের মাধ্যমে তা জানাতে পারলাম। আমাকে বিষয়টি অবগতি করার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

যে প্রতিষ্ঠানটি হাসপাতালে এসে এ ধরনের কার্যকলাপ চালাচ্ছেন তা কোন ভাবেই নিয়ম বহির্ভূত নয় আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা এই হাসপাতালে রয়েছে তা বাইরে গিয়ে করানো কোনভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই হাসপাতালে ব্যবস্থা নেই, সেগুলো আমাদের সিস্টারের মাধ্যমে ব্লাড কালেকশান করে রুগির অভিভাবকরা তা বাইরে নিয়ে করাতে পারবে। কিন্তু বাইরের কেহ হাসপাতালে এসে নিজেরাই ব্লাড কালেকশান করে, রিসিট এর মাধ্যমে টাকা আদায় করে নিয়ে যাবে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। যদি কেহ করে থাকেন তাহলে তা সম্পূর্ণ অন্যায়, নিয়ম বহির্ভূত ও বেআইনি।
আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

একই রকম খবর