স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে নিজ পুত্রবধূ ও তার পরিবারের লোকজনের হামলায় বৃদ্ধ শাশুড়ি ননদ ও দেবরসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
৯ জুলাই রোববার সকালে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়াস্থ চরফতেজংপুর গ্রামের ঢালী বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ীর আবু সায়েদ ঢালীর স্ত্রী জীবনী বেগম (৭৫) মেয়ে রেখা আক্তার (২২) ও ছেলে আরিফ হোসেন (১৫)।
এদের মধ্যে বৃদ্ধ জীবনী বেগম বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত বৃদ্ধা জীবনী বেগম ও তার পরিবারের লোকজনরা জানান, রোববার সকাল ১১ টার দিকে তার নিজ পুত্রবধূ পান্না আক্তারের সাথে প্রথমে শাশুড়ির জীবনী বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ঝগড়ার এক পর্যায়ে পুত্রবধূ পান্না আক্তার পার্শ্ববর্তী তার বাপের বাড়িতে গিয়ে শাশুড়ি তাকে মারধর করেছেন বলে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ধরে পরিবারের সকলকে ক্ষেপিয়ে তোলেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, গৃহবধূ পান্না আক্তারের এমন মিথ্যে অভিযোগের পর তার পিতা সবু ছৈয়াল, ছোট ভাই ফারুক ঢালী, মামা সোলেমান খান ও নানা হাফেজ খানসহ পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে শাশুড়ি জীবনী বেগম, ননদ রেখা আক্তার ও দেবর আরিফ হোসেনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদেরকে মেরে গুরুতরভাবে আহত করেন। তাদের অভিযোগ হামলার সময় হামলাকারীরা তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইলসেট সহ প্রয়োজনীয় দামী জিনিসপত্র নিয়ে যান।
তারা প্রভাবশালী হওয়া য় হামলাকারীরা তাদের উপরে দফায়,দফায় হামলা চালালে একপর্যায়ে এলাকার অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে তারপর তারা সেখান থেকে চলে যান।
এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজান বেপারী জানান, ঘটনার সম্পর্কে আমাকে অবগত রয়েছি। ওই মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন দলগত ভাবে তার শ্বশুরি, ননদ এবং দেবরসহ একটি নিরীহ পরিবারকে এলোপাতারি ভাবে মারধর করেছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। পরে গ্রামের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে প্রাণে রক্ষা করেছেন।