ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

ফারুক হোসেন : চাঁদপুরে ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় পৌরসভা জুড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীদের উচ্ছাস-আনন্দে মুখরিত পুরো পৌর এলাকা। পথসভা, উঠান বৈঠক, পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ, খন্ড খন্ড মিছিল আর মাইকিংয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী উত্তাপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় কোনো না কোনো প্রার্থীর পদচারণা রয়েছে। প্রার্থীর গুণের বয়ানে আর শ্লোগানে মাইকিং চলছে অলিগলিতে। প্রার্থীদের প্রচারণা ও গণসংযোগে ভিন্ন আমেজ যোগ করেছে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রচারণা। ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। অন্যদিকে পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে মিছিল, মাইকিং, লিফলেট বিলির মাধ্যমে ভোটের মাঠ মুখর হয়ে উঠেছে।

এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী চারজন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরিফ উল্ল্যাহ সরকার (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম মিয়া (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার প্রথম মেয়র আমেনা বেগমের স্বামী নুরুল হক সরকার (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর ওয়াদুদ মাস্টার (মোবাইল)।

আরিফ উল্ল্যাহ সরকার পৌরবাসীর কাছে সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে উন্নয়ন কাজ করার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। মেয়র নির্বাচিত হলে তার দরজা স্থানীয়দের জন্য সবসময় খোলা থাকবে এবং পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নসহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত ছেংগারচর পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা গড়তে সব ধরনের কাজ করবেন বলে জানান।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক সরকার নিজের বিজয়ের বিষয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, এ পৌরসভার প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনে জনগণ আমার স্ত্রীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিল। আমার স্ত্রী ও সাবেক মেয়রের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য এবার আমি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে এ পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভার উন্নত রূপান্তর করবেন বলে জানান।

এদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুধ মাস্টার বিভিন্ন উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন।

প্রার্থীদের মধ্যে বয়সের দিক থেকে সর্বকনিষ্ঠ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সেলিম মিয়া নির্বাচনের মাঠে তিনি বেশ তৎপর। গণসংযোগকালে তিনি বলেন নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পৌরসভাকে আধুনিক মানের করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করছেন।

এদিকে মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ওয়ার্ড সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তাদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে নানাভাবে উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বলেন, এ পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে সবকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার লক্ষ্যে নানাভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটারদের ইভিএমের ব্যবহার শেখানোরও উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রার্থীরা নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে যাতে প্রচারণা চালান সে বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।

ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১৬টি ভোটকেন্দ্রে, ৮৬ ভোটকক্ষ রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৪৬, তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ২ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৩৪৪ জন।

একই রকম খবর