গুনরাজদী দর্জিঘাটে ভাতিজা কর্তৃক চাচার সম্পত্তি দখলে হামলা ও ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের দর্জিঘাট সংলগ্ন উত্তর গুনরাজদী এলাকায় ভাতিজা কর্তৃক চাচার সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় বসতভিটা ভাংগচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ভুক্তভোগি পরিবার চাঁদপুর মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্ল্যেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযোগ দায়েরকারী বাদী মোঃ আব্দুল হালিম ফালী বলেন, আমার সম্পত্তি দখলের জন্য আমার বাড়ির সম্পর্কে ভাতিজাসহ অনন্যারা আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে।

এছাড়াও তারা আমার বসতভিটার বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার এলাকার কাউন্সিলর ও গণমান্য ব্যক্তিরা শালিশ করলেও তারা সেই শালিশকে পাত্তা দিচ্ছে না।

৫ জুন রাত সাড়ে নয়টায় তারা আমার পরিবারে উপর হামলা চালায় ও বসত ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ফেলে। আমি এখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি, তাই চাঁদপুরডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। লিখিত অভিযোগ উল্লেখ: বিবাদীরা আমাদের একই বাড়ির বাসিন্দাভ বিবাদীরা অত্যাচারী, উশৃঙ্খল, লাঠিয়াল, জুলুমবাজ, পরসম্পদ লোভী, এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক।

বিবাদীরা আমাদের আমাদের মালিকানা সম্পত্তি জোর পূর্বক ভাবে ভোগ দখল করার পাঁয়তারা করিয়া আসিতেছে। বিবাদীরা কথায় কথায় লাঠিসোঠা নিয়া আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে মারধর করার জন্য তাড়াইয়া আসা সহ বিভিন্ন প্রকার ও হুমকি প্রদান করিয়া থাকে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনকে জানাইলে তাহারা সালিশ দরাবারের মাধ্যমে বিবাদীদেরকে সতর্ক করে দিলেও বিবাদীরা কারো কথার মান্য করে না। বিবাদীরা আমাদের হয়রানী করার জন্য আমাদের মালিকানা তাহাদের বলিয়া দাবি করিয়া বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্ত মামলা নং-১৪৪১/২০২২ দায়ের করে।

পরবর্তীতে গত ২৪/০১/২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করিলে বিবাদীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া যায়। উক্ত ঘটনার জের ধরিয়া বিবাদীরা ও অজ্ঞাত বিবাদীরা বেআইনী জনতা বন্ধে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়া আমার উপর অতর্কিত হামলা করে।

বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঠিসোঠা দিয়া আমাকে এলোপাথাড়ী পিটাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা থেঁতলানো জখম করে। আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া ১নং সাক্ষী আমার স্ত্রী আমাকে রক্ষা করিতে গেলে বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঠিসোঠা দিয়া আমার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ী পিটাইয়া তাহারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে।

বিবাদীরা আমার স্ত্রীর মাথার চুল ও পরনের জামা কাপড় টানা হেঁচড়া করে শ্রীলতাহানী করে। বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঠা দিয়া আমার বসত ঘরের টিন, বেড়া, দরজা, জানালা ও ঘরের উপরের টিন ভাংচুর করিয়া অনুমান ২,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে।

২নং বিবাদী আমার স্ত্রী ব্যবহৃত টার্চ মোবাইল মূল্য-১৭,০০০/- টাকা নিয়া যায়। ৩নং বিবাদী আমার বসত ঘরের আলমারীরর গ্লাস ভাংচুর করিয়া ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য-৯০,০০০/- টাকা ও ০৮ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল মূল্য-৪৫,০০০/- টাকা নিয়া যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে অপারপর সাক্ষীরা সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিবাদীদের কবল হইতে প্রাণে রাক্ষা করে।

বিবাদীরা এই সময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বলিতে থাকে যে, আমরা এই বিষয়ে কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নিলে এবং কাউকে কোন কিছু জানাইলে আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদেরকে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সাক্ষীরা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুর নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন।

লিখিত অভিযোগি উল্লেখিত বিবাদীরা হলেন: মোঃ নাছির ঢালী (৫২), পিতা- মৃত আব্দুল কাদির ঢালী, ২। আব্দুল করিম ঢালী (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল কাদির ঢালী, ৩। সেলিম ঢালী (২৯), পিতা- মৃত আব্দুল কাদির ঢালী, ৪। আব্দুর রব ঢালী (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল লতিফ ঢালী, ৫।

ফারুক ঢালী (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল রশিধ ঢালী, ৬ ! আবুল হোসেন ঢালী (৫৮), পিতা- মৃত রুস্তম ঢালী, ৭। মোস্তফা ঢালী (৫৮), পিতা- মৃত আব্দুল আজিজ ঢালী, ৮। খোকন ঢালী (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল লতিক ঢালী, সর্ব সাং- উত্তর গুনরাজদী, পৌর ওয়ার্ড নং-১২, থানা ও জেলা- চাঁদপুর সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন।

একই রকম খবর