এই প্রজন্ম ডাক্তারি পাশ করার পর রাতারাতি কোটিপতি হতে চায়

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সব সময় প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।

প্রতিনিয়তই সারা বিশ্বে চিকিৎসা সেবা আধুনিক থেকে আধুনিকতম হচ্ছে।তাই আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে সকল চিকিৎসকদের জ্ঞান থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে।

১১ মার্চ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোল হেডে আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর উদ্যোগে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সকল কথা বলেন।

তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন আমাদের এই প্রজন্মে ডাক্তারি পাশ করার পর ডাক্তাররা রাতারাতি কোটিপতি হতে চায়। তারা রোগীর সেবার দিকে না তাকিয়ে রোগীর পকেটের দিকে তাকায়। চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গৌরবোজ্জ্বল হবে।

এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় মিডিসিন তাড়াতারি কাজ করলেও এর প্বার্শপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় একটু সময় লাগলেও তা একসাথে অনেক রোগের কাজ করে। হোমিও চিকিৎসকদের অনেক বেশি আন্তরিক হতে হবে।ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সবার আগে দেখতে হবে। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন সময় অনেক বার দেখেছি হোমিও চিকিৎসার উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় অনেক দেন দরবার করতে। তার আন্তরিকতায় হোমিওপ্যাথিক অনেকদূর এগিয়ে এসেছে । আমি এই জেলায় থাকাকালীন সময়ে কলেজ অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব।

উদ্বোধক এর বক্তব্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় বলেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য-সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে গিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়ে এসেছেন আমূল পরিবর্তন। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য-সেবা নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি এই চিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে।

তবে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রশিক্ষিত ডাক্তারদের মাধ্যমে চালু থাকতে হবে যাতে মানুষ ভুল চিকিৎসায় কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

তিনি নবীন ও প্রবীণ দের উদ্দেশ্যে বলেন ১৯৭৭ সালে আমি একজন ছাত্র ছিলাম। তখনকার হোমিও প্যাথিক ও এখনকার হোমিওপ্যাথিক এক নয়।আজকের হোমিওপ্যাথিক হচ্ছে আধুনিক হোমিওপ্যাথিক। দেশে ১৪ টি হোমিও কলেজ দ্বিতীয় তলা হয়েছে।

হোমিও শিক্ষকরা সরকারি সুবিধা পাচ্ছে।খুব শীঘ্রই আইন হতে যাচ্ছে যেখানে হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক কোন পার্থক্য থাকবে না। এলোপ্যাথিকগন রোগীর পকেট কাটে, হোমিও চিকিৎসক নামমাত্র টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়। হোমিও চিকিৎসার ব্যাপক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা খুব সহজেই একটি মহাসমাবেশ করব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম, পাটোয়ারী দুলাল, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার কাম সেক্রেটারি ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বোর্ড সদস্য ডাঃ এ কে এম ফজলুল হক (সিদ্দিকী),সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন, মোঃ জাকারিয়া হোসেন, চাঁদপুর আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মোজ্জামেল হক পাটোয়ারী, কুমিল্লা হ্যানিম্যান কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম,নাঙ্গলকোট হোমিও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ প্রমখ।

কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ আতাহার আলীর সভাপতিত্বে, প্রভাষক ডাঃ শেখ মহসীনের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে উদযাপন পরিষদ নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের আহবায়ক হারুন অর রশিদ হাওলাদার এর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ, মহিলাদের চেয়ার খেলা, ছেলেদের হাড়ি ভাঙ্গা খেলা সম্পূর্ণ হয়। এরপর রেফেল ড্র মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

 

সম্পর্কিত খবর