ফরিদগঞ্জে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সরকারি সম্পতিতে দোকান নির্মাণ

এস এম ইকবাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে সরকারি ছুটির দিনে ইউপি সদস্য রতনের নেতৃত্বে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মহল। এ নিয়ে এলাকায় হৈইচৈই দেখা দেয়।

একজন জনপ্রতিনিধি নিজেই যদি সরকারি সম্পদ দখল করার জন্য নির্দেশ দেয়! তা হলে সাধারন মানুষ কি করবে এমন প্রশ্ন অনেকের।

শোনাযায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জায়গা দখল করতে উৎসাহিত ওই ইউপি সদস্য। ঘটনাটি উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব বদরপুর গ্রামে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের থেকে বদরপুর হয়ে রুস্তমপুর ও রুপসা পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। সেই রাস্তার পাশের সরকারি জমি দখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মান করছে প্রবাসী বিল্লালের স্ত্রী জীবনী বেগম। এতে ক্ষীপ্ত এলাকাবাসী।

ঘটনার ব্যাপারে জীবনী বেগম জানান, এই জমি আমার ক্রয়কৃত। রাস্তা আমার জমি দিয়ে গেছে তাই আমি রাস্তার জমিতে দোকান নির্মান করছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য রতন উপস্থিত থেকে জমি পরিমাপ করার পর আমাকে এখানে দোকান করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে জন্য আমি আমার নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছি। এতে আমার কি দোষ?।

স্থানীয়রা জানান, বিল্লালের স্ত্রী সরকারী রাস্তার জমিতে দোকান ঘর নির্মান করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ একটি মহলকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এই ঘর নির্মান করছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি অফিস ছুটি থাকার এই সুযোগে জীবনী বেগম অবৈধ অর্থ লেনদেন মাধ্যমে কর্মকর্তা ও লাঠিয়াল বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় দিনরাত খাটিয়ে পুনরায় সরকারি রাস্তার জমিতে পাকা দোকান নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সরকারি জমি বেদখলের পাশাপাশি রাস্তায় ভবিষ্যতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরকারি জমি থেকে এ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য রতন বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার পর সার্ভেয়ার বাহারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে সরকারি জমির সীমানার ধারণা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সরকারি জমি ছেড়ে নির্মাণকাজ করতে জীবনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও চলছে নির্মাণ কাজ! সার্ভেয়ার বাহারের বক্তব্য মতে বর্তমান নির্মাণাধীন দোকানের পূর্ণ জমিটুকু’ই সরকারি রাস্তার।

ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার উল আলম কামরুল বলেন, এ ঘটনা আমি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সরকারি জমি হিসেবে অভিযোগের পর পূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইউপি সদস্য রতনকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তারা আমার কথা শুনে না। আমি কি করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে দেখবো। যদি রাস্তার জমি হয় তা হলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সম্পর্কিত খবর