
মহসিন হোসাইন : চাঁদপুরে মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, দায়িত্বশীরা এগিয়ে আসতে হবে। জেলা প্রশাসন পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এই প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে যখন নাগরিকরা নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করবেন। শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা বর্তমান সময়ে দায়িত্ব পালন করছি, তারা অনেকটাই অসচেতনতার মধ্যে দিয়ে সময় পার করছি। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম—আজকের এই সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা—যদি এখন থেকেই সচেতন হয়, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে, তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, সবুজ ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসক আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে অপরিকল্পিত নগরায়ন, কলকারখানা স্থাপন এবং নির্মাণাধীন ভবনগুলো পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সচেতনতা ও পরিকল্পিত নগরায়ন অপরিহার্য।
সভায় চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—চাঁদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল কবির, পৌর প্রশাসক মোঃ গোলাম জাকারিয়া, চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ নূর আলম দ্বীন,
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ। সভায় উপস্থিত ছিলেন—চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরশাদ উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম, ক্লিন চাঁদপুর সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন খান আকাশ, চেম্বার অফ কমার্স সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল শোয়াইব আহমেদ, হাসপাতাল মালিক সমিতির প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান,
সাংবাদিক আলম পলাশ, জেলা সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মুছাদ্দেক আল আকিব, এবং রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম। এছাড়াও চাঁদপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভা শেষে পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।




