
চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : পদ্মা-মেঘনা নদীতে পানি ও আর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লেও চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের সরবরাহ খুবই কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। এ ঘাটে আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো। এখন ৫০ থেকে ১০০ মণে এসে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাছঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতাই ইলিশের খুচরা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ একান্ত প্রয়োজনে কিংবা দূর থেকে এসেছেন বলে বড় বড় দুই/একটি ইলিশ কিনছেন।
রাজধানী থেকে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আসা আবু রায়হান বলেন, চার বন্ধু লঞ্জে করে তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে এসেছি। মোহনার পাশেই ইলিশ ঘাট। ঘুরে ঘুরে ইলিশের বাজার দেখলাম। তবে এখানে এসে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ইলিশের স্তুপ নেই, আবার দামও বেশি। সাধ্যের মধ্যে হলে ইলিশ কিনে নিয়ে যাব। চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা সায়েম মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে অতিথি এসেছে। তাদের ইলিশ কিনে দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। প্রতি কেজি ইলিশ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দাম। একটি ইলিশ দুই হাজার টাকায় কিনে পাশের হোটেলে আপ্যায়ন করেছি।
ঘাটের ব্যবসায়ী নবীর হোসেন বলেন, ইলিশের মৌসুম চলছে কিন্তু চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। সারাদেশে চাঁদপুরের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাজারে মাছের আমদানি কম। আগে ট্রলারে করে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে দিনে আসত ৪০০ থেকে ৫০০ মণ। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেই মাছ এখন আর এ ঘাটে আসে না। এখন দিনে ঘাটে ৫০ থেকে ১০০ মণের বেশি ইলিশ আসে না। সামনে ইলিশের ভরা মৌসুম, নদীর পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি থাকলে ইলিশ ধরা পড়বে। তখন দাম কমবে।
আরেক ইলিশ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, মাছঘাটে আসা এখনকার ইলিশ আকারে বড়। এখনকার ইলিশ স্থানীয় নদীর। ছুটির দিনসহ পুরো সপ্তাহ জুড়ে ক্রেতারা আসেন। অধিকাংশ ক্রেতা দরদাম যাচাই করেন। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় না কিনেই চলে যান। যে কারণে আমাদের বিক্রিও কমেছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবেবরাত সরকার বলেন, বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ দুই হাজার ৮০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




