চাঁদপুর সদর এসিল্যান্ডের নির্দেশে মৈশাদীতে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ

চাঁদপুর খবর রির্পোট: দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার গত ১৫জুন ২০২৫ তারিখে তলিয়ে গেছে ফসলী জমি মৈশাদীতে রেলওয়ের নিচে সরকারি খালে অবৈধ ড্রেজার পাইপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি শিরোনামে প্রকাশিত নিউজের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: আল এমরান খানের নির্দেশে মৈশাদীতে ড্রেজারের স্থান পরিদর্শর করেছে শাহতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।

গতকাল ১৭জুন মৈশাদী বাজারের পাশে মো: শফিকুর রহমান ভূইয়া কর্তৃক অবৈধ ড্রেজারের পাইপ খালের উপর বসানোর সত্যতা পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা জানান, আমরা এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে খালের উপর ড্রেজার স্থাপনের বিষয়টি পরিদর্শন করেছি। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে। আমরা ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা মৈশাদী ইউনিয়নে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল দখল করেছে। এতে খালের পাড় ভেঙে আশপাশের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন এলাকার শত শত কৃষক।

মৈশাদী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর সাথে যুক্ত সরকারি খাল দিয়ে ড্রেজার স্থাপন করে স্থানীয় শফিকুর রহমান ভূঁইয়া নামের একজন অসাধু ব্যবসায়ী। সেই স্থাপনকৃত ড্রেজার পাইপের কারণে ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে খালপাড়ের ফসলি জমি পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে জানা যায়, মৈশাদী ইউনিয়নের ৩৫ হাজার লোকের বসবাস। এই ইউনিয়নে শতকরা ১০ভাগ লোক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ইউনিয়নে প্রধান একমাত্র খাল মৈশাদী হামনকদি খালটি।

যা মৈশাদী ইউনিয়নের ডাকাতি নদী থেকে শুরু হয়ে মৈশাদী-হামনকর্দি হয়ে বাবুরহাট এলাকার যুক্ত হয়েছে। খালটির দৈঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। গত কয়েক বছর যাবৎ অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন বালু যাওয়ার কারণে খালটি প্রায় ভরাট হয়ে যাচ্ছ। খালের পাড় ভেঙে কৃষি জমিগুলো এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে। এতে করে জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন খালপাড় সংলগ্ন জমির অনেক কৃষক।

খালপাড় সংলগ্ন জমির মালিকরা স্থানীয় সফিকুর ভূঁইয়ার ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, খাল দখলের প্রতিবাদ করলে শফিকুর রহমান ভূইয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। খালের পাড় সংলগ্ন কৃষকরা জানায়, ভাঙনেয় কারণে তাঁদের জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করে খাল রক্ষা করা না হলে অচিরেই কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে এবং বিপদে পড়বে হাজারো কৃষিজীবী পরিবার।

সম্পর্কিত খবর