অ্যাড. ফজলুল হক সরকার স্মরণে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা

স্টাফ রির্পোটার: চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের স্মরণে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৫ জুন) সকাল ১১ টায় জেলা জজ আদালতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নাহারের সভাপ্রধানে ফুলকোর্ট রেভারেন্স পালন করা হয়। এ সময় বিচার বিভাগের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন অ্যাড. জাবির হোসেন ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব অ্যাড. কাজী আ. গফুর।

দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মরহুমের স্মরণে শোকসভার আয়োজন করা হয় আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অ্যাড. বাবর বেপারী। শোকবার্তা পাঠ করেন সমিতির

সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জসীমউদ্দীন মেহেদী হাসান। পরে তাঁর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. সেলিম আকবর, অ্যাড. মো. জহিরুল ইসলাম, অ্যাড. কোহিনুর রশিদ, অ্যাড. নাঈমুল ইসলাম, অ্যাড. এটিএম মোস্তফা কামাল, অ্যাড. শেখ আবুল খায়ের মো. সালেহ, অ্যাড. কামাল উদ্দিন আহমেদ,

অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাড. জসিম পাটোয়ারী, অ্যাড. আহছান হাবীব, অ্যাড. শাহ আলম ফরাজী, অ্যাড. জাকির হোসেন ফয়সাল, অ্যাড. কাজী আব্দুল গফুর, অ্যাড. এমরান হোসেন, অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, অ্যাড. তোফায়েল হোসেন জোশেফ, অ্যাড.

হাবিবুর রহমান লিটু, অ্যাড. শাহ আলম (২), মরহুমের ছেলে এইচ এন এহসানুল হক ফারহান প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ফজলুল হক সরকার বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত পৌনে ১০ টায় ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ২ মেয়ে সহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান।

অ্যাড. ফজলুল হক সরকার ১৯৭৩ সালে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। মরহুমের জন্মস্থান হাইমচর উপজেলায় হলেও তিনি বসবাস করতেন চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় সরকার কুটিরে। তার বাবার নাম মরহুম হাজী পিয়ার আলী সরকার। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি ও আইন পেশায় সুনামের সাথে সক্রিয় ছিলেন।

শুক্রবার (৬ জুন ) বাদ জুমা চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোর-এ-গরিবা মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে তাঁকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত খবর