মালের হাট যুব সংঘের উদ্যোগে ৮০টি গরুর মাংস বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মালের হাট যুব সংঘের উদ্যোগে ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবারের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২৮০০টি দারিদ্র পীড়িত পরিবারের মাঝে ৮০টি গরু কোরবানী করে ২ কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়।

গত ৮ জুন হাইমচর উপজেলার ৪টি স্থান (নীলকমল মালেরকান্দি, হাইমচর সরকারি কলেজের মাঠ, ঈশানবালা এবং চরভৈরবী আমতলী ঘাট) থেকে এ মাংস বিতরণ করা হয়।

গরুগুলি জবাই করে মাংস প্রস্ততকরণ, ওজন করে পেকেট করা এবং বিভিন্ন বিতরন কেন্দ্রে পৌছানো হয় নীলকমল ইউনিয়নের মালেরকান্দি গ্রাম থেকে। কোরবাণীর প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল আযম, এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন কোর্ডিনেটর ও হাইমচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ইসহাক হোসেন খোকন এবং মালের হাট যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম সার্বক্ষনিক উপন্থিত থেকে কোরবানী প্রোগ্রাম বস্তবায়ন করেন।

বিভিন্ন কেন্দ্রে মাংস বিতরন অনুষ্ঠান গুলিতে উপন্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি, উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মালের হাট যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দারিদ্র্য পীড়িত পরিবারগুলি ২ কেজি মাংস পেয়ে অত্যন্ত খুশী ও আনন্দিত।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংন্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে ইংলাল্ডের বার্মিংহামে কার্যক্রম শুরু করে। সংন্থাটি বাংলাদেশসহ বর্তমানে বিশ্বের ৪৫টি দেশে কাজ করছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ইসলামিক রিলিফের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে দরিদ্র্য পীড়িত মানুষের মধ্যে কোরবানীর মাংস বিতরণ করা একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।

মালের হাট যুব সংঘ ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে গত ২০১০ সাল থেকে (প্রায় ১৬ বছর) হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ৬২৩টি গরু কোরবাণী করে প্রায় ২৯ হাজার দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ২ কেজি করে মাংস বিতরণ করেছে, এতে করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হয়েছে।

হাইমচর উপজেলাটি বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রন্থ উপজেলার মধ্যে একটি। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্ধ নিতান্তই কম তথাপিও যে সকল পরিবারগুলি ঈদের সময় ২ কেজি মাংস পেয়েছে তাদের জন্য যা খুবই উপকারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিই ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশকে এ দারিদ্র্য পীড়িত এলাকার জন্য আগামীতে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায়। –

সম্পর্কিত খবর