
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ডাকাতিয়া নদী প্রভাবশালীদের বালু মহল ও স্থাপনার দখলে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে দিনের পর দিন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের নীরবতায় ডাকাতিয়া নদীর ঐতিহ্য বিলীন হওয়ার পথে। বিগত সরকারের আমলে নদী খননের নামে হয়েছে নদীর বালু লুটপাট। লুটের রাজত্বে মাটি বিক্রি করে প্রভাবশালী নেতারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা যমুনার শাখা ডাকাতিয়া নদী। হাজীগঞ্জ উপজেলার অংশে ডাকাতিয়া নদী প্রভাবশালীদের দখলে দিনের পর দিন। জনগুরুত্বপূর্ণ নৌপথ ডাকাতিয়া নদীতে আজ প্রভাবশালীদের বালু মহল ও স্থাপনা নির্মাণ করার কারণে ডাকাতিয়া নদী আজ সরু হয়ে যাওয়ায় বালুবাহী বলগেট, কার্গো, ট্রলার হিমসীম এর মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন পারাপার হচ্ছে। এতে করে বলগেট, কার্গো, ট্রলার ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
লাভজনক বাণিজ্যিক এই নৌপথ দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কার্গো, ট্রলার যোগে চাঁদপুর জেলার বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র হাজীগঞ্জ বাজারে স্বল্প খরচে মালামাল আসা-যাওয়া করত। অথচ লাভজনক এই নৌ পথে কালের বিভক্তে যাতায়াত সুবিধা বিলীন হওয়ার পথে। ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে প্রভাবশালীরা বালু মহল ও বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। কার্গোর বালি পড়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে। অনেকাংশেই ডাকাতিয়া নদীর পাড় চরের মত দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে হাজীগঞ্জ বাজারে লাভজনক এই নৌপথে মুদি মালামাল চাঁদপুর পুরান বাজার থেকে কিছুটা আসা-যাওয়া করছে। এছাড়াও বরিশাল ভোলা ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে তরমুজ ভাঙ্গি, রড সিমেন্ট বোঝাই কার্গো আসা যাওয়া করছে। নদী শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে বালুবাহী বলগেট, কার্গো, ট্রলার ছোটখাটো দুর্ঘটনা স্বীকার হচ্ছে।
রামগঞ্জ গৌরীপুর সড়কের ডাকাতিয়া নদীর উপর বড় ব্রিজের পিলারের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। এতে করে পিলারের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করে বালুবাহী ট্রলারের মালিক কে জরিমানা আদায় করা হয় এবং ব্রিজের পিলারের সাথে বালুবাহী ট্রলারের রশি বাধা নিষেধ করা হয়। অথচ প্রশাসনেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা তাদের খামখেয়ালি মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।