চাঁদপুরে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

মহসিন হোসাইন: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম” প্রকল্পে কর্মরত প্রায় ৮৪ হাজার শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বেতন-ভাতা না পেয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা ঈদুল আজহার পূর্বেই বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং প্রকল্পকে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে ১৯৯৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে চলমান এ প্রকল্পের ৭ম পর্যায় শেষ হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে। এরপর ৮ম পর্যায়ের জন্য পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন না পাওয়ায় জনবলরা বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পের জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দিলেও বাস্তব অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। সর্বশেষ ১৪ মে ২০২৫ তারিখে পরিকল্পনা কমিশনের এক সভায় ৫ মাসের বেতন বাদ দিয়ে পরবর্তী সময় থেকে বেতন প্রদানের প্রস্তাব উঠে আসে, যা প্রকল্পে কর্মরতদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করেছে।

দাবিসমূহ: জানুয়ারি ২০২৫ হতে প্রকল্প অনুমোদন এবং ঈদুল আজহার পূর্বে বকেয়া বেতন পরিশোধ। ২। তৃতীয় থেকে সপ্তম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত জনবলকে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তি।

৩। সপ্তম পর্যায়ের জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অষ্টম পর্যায়ে স্থানান্তর। ৪। কেয়ারটেকার ও কর্মীদের বেতন স্কেলভুক্তকরণ। ৫। শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি।

প্রকল্পের পক্ষে ফিল্ড সুপারভাইজার জুলফিকার হাসান মুরাদ, মজিবুর রহমান, ট্রেইনার মাওলানা সোলাইমান, সালাউদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মাহবুব আলম, মোক্তার হোসেনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কেয়ারটেকাররা উপস্থিত ছিলেন এবং এসব দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করেন।

তারা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানান, ঈদুল আজহার পূর্বেই দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জনবলকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য। অন্যথায় দেশের ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্পর্কিত খবর