
স্টাফ রিপোর্টার : প্রচন্ড জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেলারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ভর্তি হয় বিল্ডিং কন্সট্রাকশনের সাব কন্টাকটার দেলোয়ার হোসেন মৃধা।
তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার রাতে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা নার্স সীমা আক্তার ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেই দেলোয়ার হোসেনের করুন মৃত্যু হয়। ডাক্তার ও নার্সের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের স্বজনরা।
এই ঘটনায় হাসপাতাল প্রাঙ্গনে রোগী স্বজনদের উত্তেজনা বিরাজ করলে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দীর্ঘ সময় রোগীর চিকিৎসা পত্র নিয়ে ডিউটি ডাক্তারের কক্ষে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চান মডেল থানার ওসি ও রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মারা যাওয়া দেলোয়ার হোসেন মৃধা চাঁদপুর শহরের ১৪ নং ওয়ার্ড শীলন্দীয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন মৃধার ছেলে।
নিহত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তিনদিন পূর্বে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় স্বামী দেলোয়ার। জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মিজানুর রহমান রোগীকে দেখে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি দেয়। হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার চিকিৎসা পত্রে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য লিখে দিলে দায়িত্বে থাকা নার্স সীমা আক্তার ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেই স্বামী দেলোয়ারের মৃত্যু হয়। ডাক্তার ও নার্সের ভুল চিকিৎসার কারণেই এই মৃত্যু হয়েছে।
এই বিষয়ে নার্স-শিমা জানান, জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মিজানুর রহমান রোগীকে দেখে ভর্তি দেয়। তবে চিকিৎসা পত্রে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য কোন ডাক্তার লিখেছে তা জানা নেই। ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রোগী দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক্তার ভালো বলতে পারবে।
এদিকে নিহত দেলোয়ার হোসেনের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নামিয়ে এম্বুলেন্সে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের স্বজনদের সাথে ইন্টার্ন ডাক্তার পরিচয় দেওয়া কয়েকজন যুবক এসে হট্টগোল করে। পরে হাসপাতালে সামনে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতা পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।