মধুরোড স্টেশনে সাগরিকা ট্রেনের বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রির দাবিতে বিক্ষোভ

মাসুদ হোসেন : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন চাঁদপুরের মধুরোড। এই রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন। চাঁদপুর-লকসাম রেলপথের জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম-চাঁদপুরে দুইটি ট্রেন চলাচল করে।

একটি আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস অপরটি সাগরিকা কমিউটার ট্রেন। আন্তঃনগর ট্রেনটি সরকার পরিচালনা করলেও সাগরিকা ট্রেনটি মেসার্স এন এল ট্রেডিং কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রতিদিন দুপুরে সাগরিকা ট্রেনটিতে যাতায়াতের জন্য মধুরোড সহ আশপাশের মানুষজন এ স্টেশনে আসেন। কিন্তু মধুরোড থেকে উঠা চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা এই ট্রেনে যাতায়াত করতে হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। আসন পেতে হলে চাঁদপুর অথবা হাজীগঞ্জ রেল স্টেশনে আগে গিয়ে টিকেট ক্রয় করার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে মধুরোড এলাকার বাসিন্দা চাঁদপুরস্থ চট্টগ্রাম জেলা সমিতির সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেক তালুকদার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি অনেক লেখালেখির পর মধুরোড স্টেশনে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ৫০টি টিকেট বরাদ্দের অনুমোদন করান। এরপরে মেসার্স এন এল ট্রেডিং কোম্পানি সেখানে কাউন্টার বসালেও কদিন পর পর টিকেট পাওয়া যায় না।

এ নিয়ে গত শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা কমিউটার ট্রেনটি মধুরোড প্রবেশ করলে যাত্রী সহ সর্বস্তরের শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ করেন। এই স্টেশনে পূণরায় টিকেট বিক্রি করে মধুরোড সহ আশপাশের দূর দূরান্তের যাত্রীগণের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। তাদের দাবি মধুরোড একটি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রেল স্টেশন। এই স্টেশনের জন্য পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে মেসার্স এন এল ট্রেডিং কোম্পানিকে ৫০টি টিকেট বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

কিন্তু তারা ঠিক মতো টিকিটগুলো না দেয়ায় জনগণের ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে যায়। লাকসাম- চট্টগ্রামে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মধুরোড স্টেশনে সাগরিকা ট্রেনের বরাদ্দকৃত টিকিটগুলো বিক্রি করা হোক। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ে সহ প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছি।

মেসার্স এন এল ট্রেডিং এর ম্যানেজার বাপ্পি রবিবার রাতে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে বলেন, এই স্টেশনের জন্য সাগরিকা ট্রেনের ৫০টি টিকেট বরাদ্দ হলে আমরা সেখানে কাউন্টার দিয়েছি। কিন্তু পযাপ্ত টিকেট বিক্রি না হওয়ায় কাউন্টার বন্ধ করে দেই।

পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর অনুরোধে আবারো মধুরোড রেল স্টেশনে কাউন্টার দিয়ে টিকেট বিক্রি চালু করলে অনেকদিন পর্যবেক্ষণ করেও কোন সুফল না পেয়ে সেখানে টিকেট বিক্রি টোটালি বন্ধ করে দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই স্টেশনে প্রতিদিন ৭-৮ টি টিকেট বিক্রি হয়। ঊর্ধ্বে গেলে ১০-১২ টি টিকেট বিক্রি হয়। এ দিয়ে তো একটি কাউন্টার চালানো সম্ভব না।

সম্পর্কিত খবর