
স্টাফ রিপোর্টার : মিষ্টি খাবার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের শিশুকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে খারাপ কাজ করলো ইদ্রিস মোল্লা নামে এক লম্পট।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুকে নির্যাতন করা অভিযুক্ত ইদ্রিস মোল্লা হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব রাজারগাঁও তালুকদার বাড়ির মৃত ইয়াকুব মোল্লার ছেলে। ঘটনার পর হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ মূল হোতা ইদ্রিস মোল্লাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার আটক ইদ্রিস মোল্লা কে আদালতে প্রেরণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর হয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
শিশু নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও মূল অপরাধী ইদ্রিস মোল্লাকে বাঁচাতে এলাকার দালাল চক্ররা শিশুর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সাত বছরের শিশুকে নির্যাতন অবশেষে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সাত বছরের শিশু নির্যাতনের অভিযুক্ত ইদ্রিস মোল্লার কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান শিশুর পরিবার। শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইদ্রিস মোল্লা তার বিল্ডিং ঘরে নিয়ে আটকে রেখে শিশুর জামাকাপড় খুলে খারাপ কাজ করেছে।
তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইদ্রিস মোল্লার ঘরের সামনে গিয়ে ডাক চিৎকার করলে অবশেষে সেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে শিশু মেয়ে। তার সাথে দস্তা দস্তি করায় মুখে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইদ্রিস মোল্লার পক্ষ হয়ে তার লোকজন মোবাইল ফোনে হুমকি ধুমকি দিচ্ছে।
এখন নিরাপত্তাহীনতায় পুরো পরিবার নিয়ে ভুগছে। এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি রাজীব শর্মা জানান, শিশুর পরিবার অভিযোগ দেওয়ার পরেই মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত হদিস মোল্লাকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।