
স্টাফ রিপোর্টার : মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজির বাড়ি থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ৩ঘটিকার সময় উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির (৩০) ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৫০টি খালি বস্তা উদ্বার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে মো. খবির মিয়াজি পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজি। ডিলার খবির মিয়াজী সরকারি ভাবে ওএমএসের চাল বিক্রি না করে গোপনে তার বাড়িতে বেশি দামে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে রাখেন। এমন তথ্য স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতারা পুলিশকে জানালে দুপুর ৩টার দিকে খবির মিয়াজির বাড়ি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় খবিরের বাড়ির ঘরের মধ্যে থেকে ওএমএসের ৬বস্তা সরকারি চাল জব্দ ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় খবির মিয়াজিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টের পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার খবির মিয়াজি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পাননি।
মতলব উত্তর থাকে উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রামে ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে চালের বস্তা ও খালি বস্তাগুলো জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি গোলাম হোসেনের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি নেতা মনির হোসেন জানান, যারা এই সমস্ত কাজের সাথে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপির দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান এ বিষয়ে যাতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিচ্ছি। অভিযুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, বিষয়টি জেনেছি, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।