হাইমচর উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

কবির হোসেন : চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) বিকেলে হাইমচরের দুর্গাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।

তিনি বলেন, আজকে এখানে একটি সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। যে নেতৃত্ব আগামী দিনে হাইমচরের প্রতিটি এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুর্গ গড়ে তুলবে। শহীদ জিয়ার, খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের দুর্গ গড়ে তুলবেন। এবং আজকে যে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে এই হাইমচরের দুঃখী মানুষের পাশে থাকবে এই নেতাকর্মীরা থাকবে আমি আশা করি। আপনারা জানেন দীর্ঘ ১৬ বছর বিগত ফ্যাসিস্ট, ভোটার বিহীন নির্বাচনের শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই ধ্বংস হিসেবে হাইমচরেরও বিভিন্ন এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এখানে আপনাদের পাশেই সারা বাংলাদেশেই যে বদনামটি হয়েছিল চাঁদপুরের বালু খেকো একটি নাম। সেই বালু খেকোর যাতে আবার জন্ম না হয়। আজকের এই নেতৃত্ব সেটি খেয়াল রাখতে হবে। মানুষ যাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন বদনাম করতে না। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়। আজকের নেতাকর্মীদের সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানুষের রাজনীতি করি। সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে এলাকার উন্নয়নের রাজনীতি করে এলাকার মানুষের পাশে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

হাজী মোস্তাক মিয়া বলেন, বিগত দিনে আপনারা দেখেছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি সরকারের আমলে দেশ পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশকে স্ব-নির্ভর দেশ গড়ে তুলেছিলেন। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন ও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। মানুষ উন্নয়ন চায় তাই আজকে সময় এসেছে আবারো বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবাদী দলকে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় নিয়ে আসার সেই সুযোগ এসেছে। যেমনি ভাবে ১৬ বছর দলের গণতন্ত্র কে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের লুটপাট রাহাজানি টেন্ডারবাজি সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি সেই হাসিনা সরকারের দোসরা। এ অবস্থার পুনরাআবৃত্তি যাতে বাংলাদেশ আর না হয়। সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর কেন আন্দোলন করেছে, এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমা কেন খেয়েছ। এই ১৬ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে। গুম হয়েছে কেন কারণ বাংলাদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনী প্রত্যেকেই মতামত স্বাধীনভাবে দিতে পারবে।

প্রত্যেকের মতামত তাদের ইচ্ছেমতো প্রকাশ করতে পারবে আর সেটার জন্যই আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন। কিন্তু আজকে ষড়যন্ত্র চলছে কিভাবে আজকের এই সফলতাকে নস্যাৎ করা যায়। একটা কুচক্রি মহল একটি লোভী অংশ বিকৃত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, কোন তালবাহানা বাংলাদেশের মাটিতে চলবেনা। সাময়িকভাবে করতে পারবেন কিন্তু লাভ হবে না। নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনে আপনাদের রায় নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় আসবে সেটা আমরা আশা করি।

সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উল্লাহ বেপারীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাঈল হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব জহির মিয়াজী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল খালেক খান, প্রভাষক হারুনর রশীদ, হাজী ইসহাক খোকন, মোঃ মিজানুর রহমান শেখ, মোঃ বিল্লাল হোসেন আখন, আজিজুল হক বাবুল, সরদার আবু তাহের, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম মাঝি, মোঃ বোরহান উদ্দিন জুটন, দিদারুল ইসলাম জমাদার,

উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মান্নান আখন, উপজেলা সেচ্চাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ আখন, সাধারন সম্পাদক মোঃ মিলাদ হোসেন মাঝি, হাইমচর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেদসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত খবর