
মোঃ ইসমাইল : হাইমচর মেঘনা নদীর পশ্চিমে জেগে উঠা চরের ৪৮ একর খাস জমি জালিয়াতি করে ব্যাক্তিনামে দলিল করে নেয় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বড় ভাই টিপুসহ ৫ জনের সিন্ডিকেট। সেখানে গড়ে তোলা হয় টিপু নগর। এই বিষয়ে অভিযোগ হয় দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযোগের ভিত্তিতে হাইমচর সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন। অভিযানে দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলার নীলকমল ইউনয়িনের সোনাপুর, তাজপুর (প্রকাশ্যে) বাহেরচর এসব এলাকার জমিগুলো জালিয়াতি করে দলিল করার জন্য যেসব কাগজপত্র তৈরী করা হয়েছে, তার মধ্যে বড় ধরণের জালিয়াতি করা হয়েছে এমন তথ্য মিলেছে দুদক অভিযানের প্রাথমিক অনুসন্ধানে।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়েও এসব জমির মালিকানা সংক্রান্ত সঠিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে এসব জমি বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি সৃজনকৃত কাগজপত্রের কপি পেয়েছে দুদক।
হাইমচর সাব রেজিস্ট্রার অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন,দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ছয়টি জাল দলিলের বিষয়ে সন্ধানে আসেন। যেহেতু দলিলগুলো ২০১৯ সালে সৃজিত হয় এবং আমি ২০২৪ জুনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হই অত্র অফিসে। যেসব তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন ছিলো সেগুলো আমার অফিস থেকে দুদককে সরবরাহ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচর মৌজার ৪৮.৫২৫০ একর খাস জমি তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার কর্তৃক ছয়টি দলিলে ব্যক্তি মালিকানায় রেজিস্ট্রি করে দেয় এই মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ আসে। আজকে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চাঁদপুর কার্যালয় হতে একটি অভিযান পরিচালনা করি।
আমরা সমস্ত রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করি রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আরো রেকর্ডপত্র সংগ্রহ পূর্বক আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট দাখিল করবো। পরবর্তীতে কমিশন আমাদেরকে যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করব।