
সমির ভট্রাচার্য্য : মতলব দক্ষিণে গৃহবধূ জান্নাতুল মাওয়া (১৮) নামে এক গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় চলছে নানা গুঞ্জন । কেউ বলছে হত্যা আবার কেউ বলছে আত্মহত্যা ।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাছুয়াখাল গ্রামে । এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুলের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি এজহার দায়ের করেন ।
সরজমিনে জানাযায় গৃহবধূ জান্নাতুল মাওয়া গত ৯ মাস আগে ভালবাসার টানে বিয়ে করে একই ইউনিয়নের মাছুয়াখাল গ্রামের ছিদ্দিক সরকারের ছেলে ইব্রাহিম সরকার ফাহিমকে । জান্নাতুল মাওয়া গড়েভাংগা গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামির সাথে অভিমান করে ঘরে থাকা ইদুরের ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে দ্রত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন । পরে বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ময়নাতদন্তের লাশ মর্গে পাঠান।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের পিতা বাদী হয়ে স্বামী, শাশুরী ও দেবরের বিরোদ্ধে থানায় এজহার দায়ের করেন।
গৃহবধূর পিতা হারুনুর রশিদ বলেন আমার মেয়েকে হত্যা করে তারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে । মেয়ের জামাই ইব্রাহিম ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল এমনকি প্রায় সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো । খবর পেয়ে চাঁদপুর হাসপাতালের এসে মেয়ে লাশ দেখতে পাই । আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই ।
এ বিষয়ে স্বামী ইব্রাহিম সরকার ফাইম বলেন আমি ভালবেসে তাকে বিয়ে করেছি । বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জান্নাতুল আমার সাথে ঢাকায় থাকতে চাইছে। তখন আমি ওকে বলতাম তুমি আপাতত বাড়ীতে মায়ের সাথে থাক । এ নিয়ে আমার সাথে ও কথা কাটাকাটি হতো ঘটনার দিনও তাই হয়েছে । সে আমার ও আমার পরিবারের অগোচরে ঘরে থাকা ইদুরের ঔষধ খেয়ে আমার পাশে ঘুমাতে আসে । পরে ওকে ছটপট করতে দেখে আমি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মতলব দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহাম্মদ বলেন খবর পেয়ে আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি । এ বিষয়ে জান্নাতুলের পিতা একটি অভিযোগ দায়ের করেছে । ঘটনার তদন্ত চলছে ।