
স্টাফ রিপোর্টার : মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের গনশুনানী সার্বজনীন হয়নি বলে মনে করছেন প্রকল্পবাসী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫) চাঁদপুর মঠখোলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় প্রাঙ্গণে গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ২০থেকে ৩০কি.মি.দূরে। গনশুনানীটি বাস্তব মুখী করতে প্রকল্প এলাকায় এ গনশুনানিটি অনুষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আমন্ত্রণ পাননি মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইমাম, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রেসক্লাব, সাধারন কৃষক (সমিতির লোক ছাড়া)।
আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রশাসনের বাইরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্হাপনা ফেডারেশন, ফেডারেশনের অধীনে ত্রিশটি ব্যবস্থাপনা দল ও ৫টি এসোসিয়েশন। তারাই কি শুধু সুবিধাভোগী এমন প্রশ্ন অনেকেরই। পানি ব্যবস্হাপনা ফেডারেশন, ফেডারেশনের অধীনে ত্রিশটি ব্যবস্থাপনা দল ও ৫টি এসোসিয়েশন কৃষকের জন্য কতটুকু কাজ করে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের স্হানীয় পাউবো কর্তৃপক্ষর গনশুনানীর বিষয়টি তারা জানেন না। আর যদি হয়ে থাকে তাহলে সার্বজনীন হয়নি। প্রশাসনের লোকজন ছাড়া এ গনশুনানীতে পানি ফেডারেশনের কয়েকজন নেতা, সমিতি কিছু লোকজন ছাড়া কথা বলার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য কেউ ছিল না।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক জানান, গণ শুনানিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গণশুনানী প্রকল্প এলাকায় করা প্রয়োজন ছিল। আমরা গণশুনানিতে অংশ নিয়ে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারতাম।
শিক্ষক মো.হুমায়ুন কবীর বলেন, সকল শ্রেনীর মানুষের অংশ গনশুনানী হওয়া উচিত। গনশুনানী মতলব উত্তরে করা উচিত ছিল। আমন্ত্রণ পেলেও ৩০/৪০ কি.মি. দূরে গিয়ে গণ শুনানিতে অংশগ্রহণ করা অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়।
স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা জানান, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় প্রাঙ্গণে গনশুনানী অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব আমন্ত্রণ পাননি। সার্বজনীন মানুষের অংশ গ্রহণ গনশুনানী করা উচিত ছিল। প্রকল্প এলাকায় কোন শুনানির জন্য উপযুক্ত স্থান। এতে করে সর্ব মহলের লোকজন প্রকল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারতেন।
পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আগের দিন ফোনে দাওয়াত পেয়েছি। অনেকে অংশগ্রহণ করেছে। আমাদেরকে কাউকে দাওয়াত দিতে বলা হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, ফেব্রুয়ারি গনশুনানির চিঠি পেয়েছি। আমার প্রতিনিধি গন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, গনশুনানির দাওয়াত পেয়েছি। ব্যস্ততার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারিনি।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর মো. সেলিম শাহেদ এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ে গনশুনানির করার কথা বলা হয়েছে। দাওয়াততো দেওয়া হয়েছে।