চাঁসকের অধ্যাপক আলমগীর বাহার একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ২২ বছর বহাল তবিয়তে!

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন (বাহার) একই কলেজে দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে রয়েছে। সরকারি চাকুরী বিধিমালা ভঙ্গ করে তিনি বছরের যুগের পর যুগ ্একই স্টেশনে চাকুরী করে যাচ্ছেন । তার খুঁটির জোর কোথায়! এনিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।

জানা গেছে,২২ তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ২০০৩ সালে প্রথম প্রভাষক  হিসেবে নিয়োগ পেয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজে যোগদান করেন আলমগীর হোসেন বাহার।

শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আস্থাবাজন তৎকালীন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারের সহযোগীতায় ২০২১ সালে এসে বিভাগীয় প্রধান পদে পদোন্নতি পান। তার ধারাবাহিকতায় চাকুরী জীবনে শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত একই কলেজে কর্মরত আছেন এই বাহার।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কী মধু আছে চাঁদপুর সরকারি কলেজে! অধ্যাপক আলমগীর হোসেন (বাহার) দীর্ঘ ২২ বছর একই কলেজে কর্মরত রয়েছেন।

কি স্বার্থ রয়েছে তার এখানে। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ভাবে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন বলেও লোকমুখে গুঞ্জন শোনা যায়। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের পদোন্নতি লাভ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলে তিনি একই কলেজে বিদ্যমান রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

তবে, তাঁর এই একটানা ২২ বছর একই (চাঁদপুর সরকারি) কলেজে থাকা নিয়ে বর্তমানে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। আলোচনায় আরো উঠে এসেছে যে, তিনি আওয়ামী সরকারের আমলে পদোন্নতি নিয়ে এখনো কিভাবে একই কলেজে চাকরি করছেন এতো বছর। তাঁর খুঁটির জোর কোথায়। এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ সচেতন মহলে।

জানা গেছে, চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন বির্তকিত অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ এ দুজন স্থানীয় প্রশাসনেও বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। তবে গত ৫ আগষ্ট পতিত আওয়ামীলীগের সরকারের পতনের পর চাঁদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ও স্বারক্ষলিপি প্রদান করলে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশকে নোয়াখালী সরকারি কলেজে বদলী করা হয়। পতিত আলীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ ছিলো। এখন এসব অনিয়মের তদন্তের দাবী উঠেছে।

এ ছাড়াও পতিত সরকারের আমলের চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন বির্তকিত অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশসহ অধিকাংশ শিক্ষক অন্যত্র বদলী হলেও অধ্যাপক আলমগীর হোসেন (বাহার) বহাল তবিয়তে আছেন । তবে উক্ত কলেজে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন (বাহার) তার অবস্থান বহাল তবিয়তে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের বির্তকিত তৎকালীন অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশের সাথে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহারের ঘনিষ্ঠতার সুবাধে তিনি নানা সুবিধা আদায় করতেন এবং ্একই স্টেশনে চাকুরী করার সুযোগ পেয়েছেন ।

এ বিষয়ে দৈনিক চাঁদপুর খবরের পক্ষ থেকে গতকাল ৯ ফেরুয়ারী সন্ধ্যায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহারের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পাঁচই। তাই চাঁদপুর কর্মস্থল হলে আমার কাজের সুবিধা, তাই এই কর্মস্থলে রয়েছি।

আমার সাথে ২২ তম বিসিএস ব্যাচের অনেকেই এখানে আছে। তিনি আরো বলেন, আমি ২২ তম বিসিএসে ২০০৩ সালে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০২১ সালে বিভাগীয় প্রধান পদটি শূন্য থাকায় আমার পদোন্নতি হয়। এই কলেজে দু’টি পদোন্নতি পেয়েছি। তার ধারাবাহিকতায় আমি অদ্যাবধি এই কলেজে কর্মরত আছি। আমার কর্মজীবনে সুমান থাকায় একই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে রয়েছি।

( বি;দ্র: এনিয়ে আরো অনুসন্ধ্যান চলছে এবং ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে )

সম্পর্কিত খবর