হাজীগঞ্জে নব্বই বয়সোর্ধ্ব নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নব্বই বয়সোর্ধ্ব এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মাতৈন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরদিন রোববার বিকেলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর ভাইয়ের স্ত্রী জানান, তার স্বামী নৈশপ্রহরী। তিনি রাতে বাসায় থাকেন না। যার ফলে তিনি ও তার বৃদ্ধা ননস দুজনে দুই রুমে থাকেন। ননসের স্বামী ও ছেলে সন্তান না থাকায় বহু বছর থেকেই ওই বৃদ্ধা নারী তার ভাইয়ের সাথে বসবাস করেন। তিনি আরো বলেন, পেটে সমস্যার কারণে আমার ননস শনিবার রাতে বার বার ওয়াশরুমে যাওয়ার কারণে ঘরের দরজা খোলা রেখেছি। এই সুযোগে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে।

এ সময় তারা আমার রুম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার কারণে আমি কাউকে দেখিনি। পরে ননসের চিৎকার শুনে ননসের রুমে যাই। তখন রাত আনুমানিক আড়াইটা-তিনটার দিকে হবে। ননস চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। তখন আমি ওনার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি এবং বিছানার পাশে তেল ও একটি ব্লেড দেখতে পাই। তিনি বৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় বিষয়টি আমি বিশ্বাস করিনি।

তিনি আরও বলেন, পরে সকালে (রোববার) ওনার শরীরে এগুলো (ধর্ষণের আলামত) দেখি। এরপর আমি আমার পরিবারের লোকজনকে জানাই। তবে ঘরে কতজন প্রবেশ করেছেন তা আমি দেখিনি। চোরেরা যাওয়ার সময় একটি স্মার্টফোন ও কিছু টাকা নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় সবকিছু এলোমেলো করে গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মুকুর চাকমা ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে বৃদ্ধা নারী, তার পরিবারের সদস্য, স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে একজন বৃদ্ধা নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তারা বৃদ্ধার পেটে পীড়ার কথা বলেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।

সম্পর্কিত খবর