
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবাদীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
১৩ নং হানারচর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দার হড়িনা চৌরাস্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল মাষ্টার ও মুক্তার গাজীর যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৬ টি দোকানে বিগত ৫ আগষ্ট সোমবার বিকেল আনুমানিক ৫ টায় পূর্ব পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা।
হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত অগ্নি সংযোগে মূহুর্তের মধ্যেই ৬ টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দোকানের মালামালসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ভুক্তভোগী দোকানের মালিক আবুল মাষ্টার প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক আবুল মাষ্টার চাঁদপুর মডেল থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে হানাচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ছাত্তার রাড়ী (৬০) হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবু চৈয়াল (৬৫) ও আওয়ামী লীগ নেতা মানিক গাজী (৬৮) সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২০ থেকে ৩০ জনের অজ্ঞত নামে গত ১৭ আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী জানিয়েছেন গত ৫ আগষ্ট দুপুর বেলায় হইতে ছাত্র / জনতার আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করিয়া দেশ ত্যাগের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্র / জনতা ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের মার্কেটের সম্মূখে রাস্তার উপর জড়ো হইয়া আনন্দ উদযাপন করতে ছিল।
তিনি বলেন ঐ দিন বিকেলে আনুমানিক ৫ টায় ১ ও ২ নং আসামীর নেতৃত্বে ১ থেকে ৩১ নং আসামীরাসহ আরো অজ্ঞাত নামা ২০ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দলবদ্ধ হইয়া বে- আইনী জনতাবদ্ধে হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, চাপাতী, রাম দা, ছেনী,লোহার রড,এবং লাঠি সোডা নিয়া আমার মামলার ১ নং সাক্ষী ও ২ নং সাক্ষীর দোকানের সম্মূখে আসিয়া অতর্কিত ভাবে ধাওয়া দিলে আমি ও মার্কেটের সকল দোকানদারগন তাৎক্ষণিক দোকান গুলো বন্ধ করিয়া প্রাণ রক্ষায় নিরাপদ স্হানের উদ্দেশ্যে আড়ালে চলে যাই।
অন্যদিকে দোকানের সামনে থাকা স্থানীয় ছাত্র / জনতা ও বিএনপির আনন্দ উদযাপনকারী লোকজন আসামীদের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র লাঠি সোডা দেখে তারা ভয়ে প্রাণ রক্ষায় যার,যার মতো করে চলিয়া যায়।
এরই মধ্যে মাষ্টার এন্টারপ্রাইজ আমার নামীয় ২ টি দোকানের সাটার ও তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করিয়া দোকানের ভিতর গোডাউনে রক্ষিত মালামাল লুটপাট করে। একই মার্কেটে আমাদের যৌথ মালিকানা ভাড়া দেয়া আরও ৪ টি দোকানের তালা ভেঙে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্সের ভিতর রক্ষিত টাকাসহ মালামাল লুটপাট করে!
মামলার বাদী আবুল মাষ্টার বলেন সন্ত্রাসীরা দোকান গুলোর মালামাল ও ক্যাশবক্সে রক্ষিত টাকা লুটপাট করার পর দোকান গুলোতে অগ্নি সংযোগ করে।